১৮৭৩ সালে প্রকাশিত অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ (আশি দিনে বিশ্বভ্রমণ) বিশ্বসাহিত্যের একটি যুগান্তকারী অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস।
আশি দিনে বিশ্বভ্রমণ রিভিউ
ফিলিয়াস ফগ লন্ডনের রিফর্ম ক্লাবের সদস্য। টাকা-পয়সার অভাব নেই। কাজকর্ম তাকে কখনো করতে দেখা যায়নি। খুব কম কথা বলেন ফগ। কম খরচ করেন। তিনি যে কৃপণ তাও নয়, প্রচুর দান করতে দেখা যায় তাকে। বিলাসিতা একেবারেই পছন্দ করেন না। তবে ঘড়ির কাটা ধরে চলে তার, সময়ের এক সেকেন্ড এদিক ওদিক হবার যো নেই। এ পর্যন্ত লন্ডনের বাইরে পা দেন নি। তবে ভূগোল সম্পর্কে পাণ্ডিত্যের কারনে অনেকের ধারনা তিনি দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। উদ্দেশ্য ছাড়া খামোকা কোন কাজ কখনও করেন না ফিলিয়াস ফগ। এক পা ফেললেই যেখানে চলে সেখানে কেউ তাঁকে দু’পা ফেলতে দেখেনি। সবচেয়ে কম সময়ে যেপথে লক্ষ্যস্থলে পৌছুনো যায় একমাত্র সেই পথটাই তাঁর পছন্দ। বাধাকে তিনি বাধা মনে করেন না। কোন কাজে হাত দিলে, তা অসামপ্ত রাখার ঘোর বিরোধী। অপ্রয়োজনীয় কাজ তিনি সবসময় এড়িয়ে চলেন, সুখে দুঃখে অটল, বিপদে অবিচলিত, সারাক্ষণ শান্ত এবং দৃঢ়চেতা। কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে ওঠে না। কারও সাতে-পাঁচে একেবারেই থাকেন না, নিজেকে নিয়েই তিনি মগ্ন। বিস্ময়কর এক মানুষ ফগ।
অন্যান্য বই রিভিউ দেখুন
তাস খেলার টেবিলে বন্ধু স্টুয়ার্ট এর সাথে বাজি ধরলেন ফিলিয়াস ফগ, আশি দিনের মধ্যে গোটা পৃথিবীটা এক পাক ঘুরে আসবেন। আঠারো শতকের শেষের দিকে, যখন উড়োজাহাজ নেই, রেল লাইন ঠিকমতো বসেনি সব জায়গায়, পাল তোলা জাহাজের স্থান সবে মাত্র ইঞ্জিন বসতে শুরু করছে- সেই সময় আশি দিনে বিশ্বভ্রমণ সত্যিই অসম্ভব, অবাস্তব এক অলীক কল্পনা।
কিন্তু বেরিয়ে পড়লেন তিনি।
পথে বাধা আসছে একের পর এক। ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করা যায়নি এমন সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, বানচাল করে দিতে চাইলো ফিলিয়াস ফগের সমস্ত পরিকল্পনা, সময় সূচী। ভ্রমনের মধ্যে বোম্বে যাওয়ার পথে সতীদাহের নিষ্ঠুর শিকার হতে যাওয়া একজন তরুণীকে নিজের জীবন বাজি রেখে বাচাঁতে এগিয়ে আসে ফিলিয়াস ফগ। এমন অনেক ঘটনাবলী ছাড়াও ভ্রমণপথে বিভিন্ন দেশে ঘটে যায় নানা লোমহর্ষক ও রোমঞ্চকর ঘটনা।
ফিলিয়াস ফগের সাথে মজার পৃথিবীটাকে একপাক ঘুরে আসতে চাইলে ছোট্ট মাত্র 68 পৃষ্ঠার জুলভার্ন এর “আশি দিনে বিশ্বভ্রমণ” শামসুদ্দিন নওয়াব এর অনুবাদটি পড়তে শুরু করুন।