দ্য দা ভিঞ্চি কোড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথাসাহিত্যিক ড্যান ব্রাউন রচিত একটি জনপ্রিয় উপন্যাস।
উপন্যাসটি অবলম্বনে একই শিরোনামে একটি হলিউড চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ২০০৩ সালে ডাবলডে প্রকাশনী এই রহস্যমূলক উপন্যাস বইটি প্রকাশ করে। এর কাহিনী আবর্তিত হয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় প্রতীক বিদ্যার অধ্যাপক রবার্ট ল্যাংডন ও সোফি নেভুর প্যারিস এর ল্যুভ জাদুঘরে ঘটে যাওয়া একটি খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে। তদন্তে বেরিয়ে আসে যিশুর সাথে ম্যারি ম্যাগদালিন এর বিয়ে হয়েছে কি হয়নি এ নিয়ে প্রায়োরি অব সাইওন এবং ওপাস দাই এর মধ্যকার চলমান এক দ্বন্দ্বের কথা। বইটি বিশ্বজুড়ে “বেস্টসেলার” হয় এবং ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৮০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় । বইটি বাংলা সহ প্রায় ৪৫টি ভাষায় অনূদিত হয়।
দ্য দা ভিঞ্চি কোড
লেখক: ড্যান ব্রাউন
অনুবাদ: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
পৃষ্ঠা: 450
প্রকাশক: বাতিঘর প্রকাশনী
বইটি সম্পর্কে বিখ্যাত সব পত্রিকার মন্তব্য:
‘ওয়াও…দারুণ একটি ব্লকবাষ্টার…অসম্ভব বুদ্ধিদীপ্ত থৃলার’।
–দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
‘পাল্স বাড়িয়ে মাথা ঘুরিয়ে দেবার মতো একটি অ্যাডভেঞ্চার…ব্রাউন স্মার্ট থৃলারের নতুন মাষ্টার’।
-পিপল্স ম্যাগাজিন
‘দ্য দা ভিঞ্চি কোড এখন পর্যন্ত 110 মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়ে গেছে…অনন্য সাধারণ ঘটনা’।
-বুক ওয়ার্ল্ড
‘অনেক অনেক বাক, রেসিংকারের গতিতে এগিয়ে গেছে এর কাহিনী-সবটাই তৃপ্তিদায়ক, খুবই অপ্যত্যাশিত…এই উপন্যাসটি যদি আপনার নাড়িস্পন্দন বাড়াতে না পারে তবে আপনার দরকার ডাক্তার দেখানো…খুবই উৎকৃষ্টমানের বিনোদন’।
–ওয়াশিংটন পোষ্ট
‘চমৎকার আর আনন্দদায়ক…অতিমাত্রায় বুদ্ধিদীপ্ত…বইটি প’ড়ে আলোকিত হোন’।
–সানডে টাইমস
‘এই বইটি শ্বাসরুদ্ধকরভাবে পাঠককে আমোদিত করে। হ্যারি পটারের যুগে একমাত্র চ্যালেঞ্জ’।
-বুক রিভিউ
‘থৃলার উপন্যাস এর চেয়ে ভালো হতে পারে না’।
–দ্য ডেনভার পোষ্ট
‘ব্রাউন প্রমাণ করেছেন তিনি কৌতুহলোদ্দীপক আর সাসপেন্সের নতুন মাষ্টার’
-টাইমস
‘বইটির পাতায় পাতায় সাসপেন্স। থৃলার উপন্যাস জগতে নম্বর ওয়ান’।
-গহীনে দোলা
দ্য দা ভিঞ্চি কোড রিভিউ
দু’হাজার বছরের পুরনো একটি সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার জন্য প্যারিসে একই দিনে হত্যা করা হয় চারজন প্রখ্যাত ব্যক্তিকে। কী সেই সত্য যে সত্য উণ্মোচিত হলে একটি প্রতিষ্ঠিত ধর্মমতের ভিত্তি কেঁপে যাবে, হাজার বছরের ইতিহাস লিখতে হবে একেবারে নতুন করে-আর কেনই বা হাজার বছর ধরে একটি সিক্রেট সোসাইটি সেই সত্যকে সঙ্গোপনে লালন করে আসছে যে সোসাইটির সদস্য ছিলেন আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মতো জগদ্বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ।
উগ্র ক্যাথলিক সংগঠন ওপাস দাই সেই সত্যকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগে অভিনবভাবে গুপ্তসংঘ সত্যটা হস্তান্তর করে দেয় বাইরের একজনের কাছে আর ঘটনাচক্রে হারভার্ডের এক সিম্বোলজিষ্ট জড়িয়ে পড়ে মারাত্মক এক মিশনে। শেষ পর্যন্ত, সেই সত্যটা কী-আর পৃথিবীবাসী কি সেই সত্যটা জানতে পেরেছিলো তারই উত্তর নিহিত আছে দ্য দা ভিঞ্চি কোড-এ।
প্রয়োরি অব সাইওন-একটি ইউরোপীয় সিক্রেট সোসাইটি; 1099 সালে সম্রাট গদফ্রই দ্য বুইলোঁ প্রতিষ্ঠিত করেন-এটি একটি সত্যিকারের সংগঠন।
1975 সালে প্যারিসের বিবলিওথেক ন্যাশনেইল একটি পার্চমেন্ট উদ্ঘাটন করে যা লো ডোসিয়ে সিক্রেট নামে পরিচিত, এতে প্রায়োরি অব সাইওন’র অসংখ্য সদস্যের পরিচয় পাওয়া যায়, যার মধ্যে স্যার আইজ্যাক নিউটন, বত্তিচেল্লি, ভিক্টোর হুগো এবং লিওনার্দো দা ভিঞ্চিও আছেন।
ওপাস দাই ভ্যাটকানের একটি অঙ্গ সংগঠন। এই গোঁড়া ক্যাথলিক সংগঠনটি সাম্প্রতিককালে তাদের ব্রেন ওয়াশিং কর্মকাণ্ড আর ‘কোরপোরাল মর্টিফিকেশন’ নামক একটি বিপজ্জনক অনুশীলনের জন্যে বিতর্কিত এবং সমালোচিত। কিছুদিন আগে ওপাস দাই 47 মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নিউইয়র্কের 243 লেক্সিংটন এভিনু’তে তাদের ন্যাশনাল হেডকোয়ার্টারের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে।
এই বইয়ে উল্লেখিত সমস্ত শিল্পকর্ম, স্থাপত্যশৈলী, দলিল-দস্তাবেজ আর গুপ্ত-ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের বিবরণ একেবারেই সত্যি।
লা মিজারেবল: 19শ শতাব্দীর সেরা উপন্যাস
লেখক পরিচিতি
সর্বকালের সেরা বিক্রিত বই দ্য দা ভিঞ্চি কোড-এর লেখক ড্যান ব্রাউন-এর জন্ম আমেরিকায়। টাইম ম্যাগাজিনের নির্বাচনে বিশ্বের সবচাইতে প্রভাবশালী 100 ব্যক্তির তালিকায় তার নাম স্থান পেয়েছে। দ্য দা ভিঞ্চি কোড উপন্যাসটি এ পর্যন্ত বাংলা ভাষাসহ 45টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে আর বিক্রি হয়েছে 110 মিলিয়ন কপিরও বেশি।
ড্যান আমহার্ষ্ট থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কিছুদিন চাকরি করেছেন। প্রেসিডেন্ট পদক পাওয়া গণিতের অধ্যাপক এবং ধর্মীয় সঙ্গীতকার মায়ের সন্তান হিসেবে বিজ্ঞান আর ধর্মের বিরোধপূর্ণ দর্শনের মধ্যে বেড়ে উঠেছেন ড্যান ব্রাউন। কোড ব্রেকিং আর ছদ্ধবেশী সরকারী এজেন্সির প্রতি তার প্রচণ্ড আগ্রহের জন্যই দ্য দা ভিঞ্চি কোড লিখেছেন।